পর্দায় ছোটবেলার প্রিয় গল্প

‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’, ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ ছবির পর এবার ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’! ব্যক্তিটি আর কেউ নন, ‘ভিনদেশি তারা’ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। চমৎকার পরিচালক হিসেবে ইতিমধ্যেই তিনি ভক্তদের হৃদয় কেড়েছেন। এবারের চলচ্চিত্রটি নিঃসন্দেহে আরও আকর্ষণীয়। গত ৩০ আগস্ট যখন ইউটিউবে ছবির ট্রেলার প্রকাশ পেল, ভক্তদের অপেক্ষা আরও তীব্রতর হয়েছে। কারণ, বিষয়টি শুধু আর অনিন্দ্যের পরিচালনায় আটকে নেই, এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে সেলুলয়েডের ফিতের মতো নস্টালজিয়া!

স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথম শিশুতোষ উপন্যাস, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। ১৯৭৮ সালে এটি প্রকাশিত হয়। তাঁর বিখ্যাত ‘অদ্ভুতুড়ে’ সিরিজের প্রথম গল্প এটি! আর শৈশব-কৈশোরের আবেগে জড়িয়ে থাকা সেই প্রিয় উপন্যাসের চরিত্রগুলোই অনিন্দ্যের মতো সৃজনশীল পরিচালকের হাত ধরে উঠে আসতে যাচ্ছে বড় পর্দায়! এই তো আর কিছুদিন, ১২ অক্টোবর মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি, অর্থাৎ ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’র লোকেরা সেদিন বইয়ের ভাঁজ থেকে উঠে আসবেন সবার সামনে বাস্তব হয়ে, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে!

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং সন্ধ্যা রায়, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দুই জীবন্ত কিংবদন্তি। একসঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’তে প্রায় এক দশক পর তাঁদের আবারও একসঙ্গে দেখা যাবে দুটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে।

‘আমি সত্যিই খুব সৌভাগ্যবান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং সন্ধ্যা রায়ের মতো দুজন কিংবদন্তিকে আমার নির্মিত চলচ্চিত্রে নির্দেশনা দিয়েছি। এটি একটি সম্পূর্ণ পারিবারিক ছবি। আপনারা আপনাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এটি উপভোগ করতে পারবেন। আমি নিশ্চিত করছি, উপন্যাসের মূল কাহিনি থেকে এর কোনোরকম বিচ্যুতি হয়নি; বরং সবাই ভীষণ রকম নস্টালজিক হয়ে পড়বেন, যখন চলচ্চিত্রটি বড় পর্দায় দেখানো হবে!’ বললেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।

‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ ছবিতে সন্ধ্যা রায় ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ ছবিতে সন্ধ্যা রায় ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’তে দেখা পাওয়া যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, সোহাগ সেন, অপরাজিতা আঢ্য, অভিজিৎ গুহ, সোহম মিত্রসহ আরও অনেককেই!

একটি ছবি, আর সেখান থেকেই গল্পের শুরু! ছবিটি কেমন করে মনোজদের বাড়িতে এল, তা কেউ জানেন না। ছবিটি যে কার, তাকেও কেউ চেনেন না। মনোজের মন খারাপ হলে ছবিটি বের করে দেখে, তারপর মন ভালো হয়ে যায়। মনোজদের বাড়ির সারল্যেভরা মানুষগুলো, এই যেমন ঠাকুরমা, বাবার বুড়ো পিসি, মাস্টারমশাই, পুরুত মশাই, মা-বাবা, কাকা, দিদি-দাদা প্রতিটি চরিত্রই অদ্ভুত! হাসি-তামাশা, কল্পবিজ্ঞান, রহস্য—সবকিছু নিয়েই ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। সেই আগন্তুক ছবি বিষয়ক রহস্যের সমাধান শেষ পর্যন্ত এই অদ্ভুত মানুষগুলো কীভাবে করেন বা আদৌ করেন কি না, সেটি নিয়েই পুরো গল্প।

এখন অপেক্ষা করতে হবে পূজার জন্য। কারণ পূজা শুরুর ২-৩ দিন আগেই ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’র লোকেরা সেই ছবি-রহস্য নিয়ে সবার সামনে আসতে যাচ্ছেন!

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment